Header Ads

মুস্তাফিজকে যা বলেছিলেনঃ- মিরাজ



প্রায় হেরে যাওয়া আবস্থা থেকে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫১ রানের জুটিতে এই অলরাউন্ডারকে দারুন সঙ্গ দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২২ গজে ব্যাট হাতে সঙ্গ দেয়ার সঙ্গে মিরাজকে কথা দিয়ে সাহসও দিয়েছিলেন ফিজ। আর তাতেই যেন মিরপুরে ইতিহাস লেখতে সক্ষম হয়েছেন তারা। 

মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে জয়সূচক রান। তিনি ৩৮ রানে অপরাজিত থাকলেও ১১ বলে ১০ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন মুস্তাফিজ। সেই সঙ্গে মুস্তাফিজের আত্মবিশ্বাসেই সাহস পেয়েছেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মিরাজ। 

১৮৭ রানের লক্ষ্যে এক পর্যায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৩৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে শেষ হাসিয়ে হাঁসায় মিরাজ-মুস্তাফিজ জুটি। আর এই জুটিতে ২২গজে মিরাজের সমান চেয়ে কঠিন পরীক্ষাই দিয়েছেন মুস্তাফিজ।

মিরাজ বলেন, 'সবচেয়ে বড় কথা মুস্তাফিজ খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। একটা জিনিস আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, ও খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল। একটা কথা আমাকে বারবার বলছিল, আমাকে নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই। আমি ঠেকিয়ে দিচ্ছি। আমি আউট হবো না, গায়ে বল লাগলেও সমস্যা নাই। ওর এই বিশ্বাস দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমারও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে ওর আত্মবিশ্বাস দেখে।'

নিচের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে মিরাজের পরিকল্পনা ছিল ছোট ছোট জুটি গড়ার। কিন্তু এবাদত-হাসান দ্রুত ফেরায় সেই পরিকল্পনা ছিল অনেক দূরে। কিন্তু তাতেও হাল ছাড়েননি তিনি।

এই বাঁচা-মরার পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে মিরাজ বলেন, 'যখনই যে লাস্টের ব্যাটার ছিল-হাসানকেও একই কথা বলেছি যে চার-পাঁচটা বল যদি তুমি খেলতে পারো তাহলে আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি যেভাবে চিন্তা করছিলাম হয়তো এবাদতকে নিয়ে ১৫ রান করবো, হাসানকে নিয়ে ২০ রান করবো। মুস্তাফিজকে নিয়ে শেষে ১৫-২০ রান যা লাগে, করবো। এভাবেই আমার চিন্তা ছিল।'

'কিন্তু তারপরও পরপর দুই উইকেট পড়ে গেছে। শেষ উইকেট যখন ছিল- তখন তো ডু অর ডাই। মানে হারানোর কিছু নাই। তখন তো ঝুঁকি নিতেই হবে। ঝুঁকিটা এমন নিয়েছি... মুস্তাফিজের কথা খুব ভালো লেগেছে- ওর কথা কানে বাজছিল তখন নিজের মধ্যে নিজের বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।' 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ